রাসুল সাঃ এর মজার ঘটনা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা। রাসূল সাঃ এর মজার ঘটনা সম্পর্কে আমরা আজকের পর্ব সাজিয়েছি।

আজকের পর্বে আমরা এমন এক মানুষের গল্প জানতে চলেছি যিনি এই পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। হ্যাঁ, পৃথিবীতে বিখ্যাত মানুষ একজনই ছিলেন, আর তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তার জীবনের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আজ বলব, যা জানার পর এই খুশিতে আপনি সুবহানাল্লাহ বলে উঠবেন।


রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ১

একবার এক দরিদ্র লোক হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) এর জন্য একগুচ্ছ আঙ্গুর ফল নিয়ে আসলেন। মোহাম্মদ (সাঃ) লোকটির সাথে গল্প করতে করতে প্রথমে একটি খেলেন তারপর আরেকটি খেলেন তারপর একটি একটি করে সবগুলো খেয়ে নিলেন। খাবার সময় তিনি হাসিখুশি ছিলেন। সবগুলো আঙুর মুহাম্মদ (সাঃ) একাই খেয়েছেন দেখে লোকটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে চলে গেলেন ।

এরপর একজন সাহাবা বিস্মিত হয়ে জানতে চাইলেন হে আল্লাহর নবী আপনি কিভাবে আমাদের কাউকে না দিয়ে সবগুলো আঙ্গুর একাই খেয়ে ফেললেন। মোহাম্মদ (সাঃ) মৃদু হাসলেন আর বললেন আমি সবগুলো আঙ্গুর একাই খেয়েছি কারণ আঙুর গুলো টক ছিলো। যদি তোমাদের দিতাম তোমরা অদ্ভুত মুখো ভঙ্গি করতে তা দেখে লোকটি কষ্ট পেত। আমি দরিদ্র ভাইটি কে দুঃখ দিতে চাইনি।

রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ২


ঘন্টা খানেক মতো মরুযাত্রার পর সবার চেহারায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠল। মুহাম্মদ (সাঃ) সুবিধামতো স্থান দেখিয়ে সেখানে সবাইকে নিয়ে থামলেন এবং কয়েকজন সাহাবী কে সাথে নিয়ে ওজু ও পান করার পানির জন্য বেরিয়ে পড়লেন।

কিন্তু অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে কাউকে কিছু না বলে তিনি তাদের কাছে ফিরে আসলেন। সাহাবীরা বিস্মিত হলেন আর ভাবতে লাগলেন, আল্লাহর নবী কি এখানে থাকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন ? সাহাবী রা চোখ কান খারা করে সতর্কভাবে মুহাম্মদ (সাঃ) নির্দেশনার অপেক্ষায় তাকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। তাদের ভাবনাকে দ্বিগুন করে দিয়ে মুহাম্মদ (সাঃ) উট টিকে বেধে আবার পানি সন্ধানে যেতে উদাত্ত হলেন।

এই ঘটনা দেখে সাহাবিরা মোহাম্মদ (সাঃ) কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর নবী এ সামান্য কাজের জন্য আপনি আবার কষ্ট করে ফিরে আসলেন কেন? দূর থেকে আমাদের ইশারা করলে আমরা আনন্দের সাথে কাজ টি করে দিতাম। মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন কখনো নিজ কাজের জন্য অন্যের সাহায্য চাইবে না। কখনো অন্যের প্রতি হেলে থাকবে না। এমনকি এক টুকরো মেসওয়াক এর জন্যও না…

রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ৩


মোহাম্মদ (সাঃ), আলী (রাঃ) এবং আরও কয়েক জন সাহাবী একটি বড় খেজুরের প্লেট এর চারপাশে গোল হয়ে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। আর গল্প করছিলেন। সবাই খেজুর খেয়ে বিচিগুলো পায়ের কাছে জমিয়ে রাখছিলেন।

কিন্তু মোহাম্মদ সাঃ তার খেজুরের বিচি গুলো নিজের কাছে না রেখে, আলী রাঃ এর পায়ের কাছে জমাতে থাকলেন। গল্পের গভীরতায় সাহাবীরা গভীর মগ্ন, তাই কেউ তা খেয়াল করেনি। যখন সবাই খাবার শেষ করলেন তখন মহানবী সাঃ এর পায়ের কাছে কোনো বিচি নেই। অন্যদিকে আলী রাঃ এর পায়ের কাছে বিচির পাহাড়।

তখন মুহাম্মদ সাঃ অবাক হবার ভান করে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আলি, তুমি এতো খেজুর খেয়েছো…?
একথা শুনে সাহাবীরা আলি রা: দিকে তাকিয়ে হাসিতে ফেটে পড়লেন…।

প্রত্যুত্তরে আলি রা: নবীজির পায়ের দিকে তাকিয়ে বিনয়ের সাথে বললেন, “হে আল্লাহর নবী, আজ আমি বুঝতে পারলাম, আপনি বিচি সহ খেজুর খান। একথা শুনে মুহাম্মদ সা: এর পায়ের দিকে তাকিয়ে দ্বিগুন বেগে হেসে উঠেন সাহাবীরা।।।

রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ৪

জাহের নামের একজন সাহাবী গ্রাম থেকে পণ্য এনে মদিনায় বিক্রি করতেন।
আসার সময় মুহাম্মদ সাঃ এর জন্য বিভিন্ন গ্রামীণ উপহার নিয়ে আসতেন তিনি। বিনিময়ে মুহাম্মদ সাঃ মদিনার তৈরি বিভিন্ন জিনিস সাহাবীকে উপহার দিতেন।
জাহের রাঃ একজন আরব বিজ্ঞানী ও একজন সাহাবা ছিলেন। কিন্তু ব্যাক্তি হিসেবে আফ্রিকান দের মতো।

মুহাম্মদ সাঃ তাকে অনেক শ্রদ্ধা করতেন ও ভালোবাসতেন। সবসময় বলতেন ও আমার গ্রামীণ বন্ধু আর আমি তার শহরের বন্ধু। একদিন মুহাম্মদ সাঃ, জাহের রাঃ কে মার্কেটে বিক্রিরত অবস্থায় দেখলেন। বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চুপি চুপি পেছন দিক থেকে তার কাছে গেলেন এবং আচমকা পেছন থেকে জাপটে ধরলেন।

জাহের রাঃ বিরক্ত হয়ে বললেন, “এই এটা কে ছারো আমাকে।”

আশেপাশের সাহাবীরা দেখে হেসে উঠলেন। যখন তিনি বুঝতে পারলেন বাক্তিটি হযরত মোহাম্মদ সাঃ তখন তিনি মুহাম্মদ সাঃ এর হাত দুটো শক্ত করে ধরলেন, যাতে এভাবে আরো কিছু সময় থাকতে পারেন।

মুহাম্মদ সাঃ জাহের রাঃ কে সেভাবেই ধরে সাহাবীদের দিকে তাকিয়ে মজার ছলে হাসলেন আর বললেন, “কে কিনবে এই দাসকে?

মুহাম্মদ সাঃ এর হাতের ভিতর আবদ্ধ অবস্থাতেই জাহের রাঃ হাসিতে ফেটে পড়লেন। আর বললে, “হে আল্লাহর নবি, আমাকে বিক্রি করে আপনি ঠকবেন। আমার বাজে বাক্তিত্বের জন্য, কেউ আপনাকে ভালো মূল্য দেবে না।”

মুহাম্মদ সাঃ বললেন, “না জাহের, যদি পৃথিবীর একজন বাক্তিও তোমাকে সম্মান না দেয়, তারপরও তুমি আল্লাহর কাছে অমূল্য।”

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমাদের লিখা আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পর্বে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজের খেয়াল রাখুন। আল্লাহ হাফেজ……..

রাসূল সাঃ ও জিবরাঈলের প্রথম সাক্ষাৎ জানতে, নিচে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা। রাসূল সাঃ এর মজার ঘটনা সম্পর্কে আমরা আজকের পর্ব সাজিয়েছি।

আজকের পর্বে আমরা এমন এক মানুষের গল্প জানতে চলেছি যিনি এই পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। হ্যাঁ, পৃথিবীতে বিখ্যাত মানুষ একজনই ছিলেন, আর তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তার জীবনের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আজ বলব, যা জানার পর এই খুশিতে আপনি সুবহানাল্লাহ বলে উঠবেন।


রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ১

একবার এক দরিদ্র লোক হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) এর জন্য একগুচ্ছ আঙ্গুর ফল নিয়ে আসলেন। মোহাম্মদ (সাঃ) লোকটির সাথে গল্প করতে করতে প্রথমে একটি খেলেন তারপর আরেকটি খেলেন তারপর একটি একটি করে সবগুলো খেয়ে নিলেন। খাবার সময় তিনি হাসিখুশি ছিলেন। সবগুলো আঙুর মুহাম্মদ (সাঃ) একাই খেয়েছেন দেখে লোকটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে চলে গেলেন ।

এরপর একজন সাহাবা বিস্মিত হয়ে জানতে চাইলেন হে আল্লাহর নবী আপনি কিভাবে আমাদের কাউকে না দিয়ে সবগুলো আঙ্গুর একাই খেয়ে ফেললেন। মোহাম্মদ (সাঃ) মৃদু হাসলেন আর বললেন আমি সবগুলো আঙ্গুর একাই খেয়েছি কারণ আঙুর গুলো টক ছিলো। যদি তোমাদের দিতাম তোমরা অদ্ভুত মুখো ভঙ্গি করতে তা দেখে লোকটি কষ্ট পেত। আমি দরিদ্র ভাইটি কে দুঃখ দিতে চাইনি।

রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ২


ঘন্টা খানেক মতো মরুযাত্রার পর সবার চেহারায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠল। মুহাম্মদ (সাঃ) সুবিধামতো স্থান দেখিয়ে সেখানে সবাইকে নিয়ে থামলেন এবং কয়েকজন সাহাবী কে সাথে নিয়ে ওজু ও পান করার পানির জন্য বেরিয়ে পড়লেন।

কিন্তু অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে কাউকে কিছু না বলে তিনি তাদের কাছে ফিরে আসলেন। সাহাবীরা বিস্মিত হলেন আর ভাবতে লাগলেন, আল্লাহর নবী কি এখানে থাকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন ? সাহাবী রা চোখ কান খারা করে সতর্কভাবে মুহাম্মদ (সাঃ) নির্দেশনার অপেক্ষায় তাকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। তাদের ভাবনাকে দ্বিগুন করে দিয়ে মুহাম্মদ (সাঃ) উট টিকে বেধে আবার পানি সন্ধানে যেতে উদাত্ত হলেন।

এই ঘটনা দেখে সাহাবিরা মোহাম্মদ (সাঃ) কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর নবী এ সামান্য কাজের জন্য আপনি আবার কষ্ট করে ফিরে আসলেন কেন? দূর থেকে আমাদের ইশারা করলে আমরা আনন্দের সাথে কাজ টি করে দিতাম। মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন কখনো নিজ কাজের জন্য অন্যের সাহায্য চাইবে না। কখনো অন্যের প্রতি হেলে থাকবে না। এমনকি এক টুকরো মেসওয়াক এর জন্যও না…

রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ৩


মোহাম্মদ (সাঃ), আলী (রাঃ) এবং আরও কয়েক জন সাহাবী একটি বড় খেজুরের প্লেট এর চারপাশে গোল হয়ে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। আর গল্প করছিলেন। সবাই খেজুর খেয়ে বিচিগুলো পায়ের কাছে জমিয়ে রাখছিলেন।

কিন্তু মোহাম্মদ সাঃ তার খেজুরের বিচি গুলো নিজের কাছে না রেখে, আলী রাঃ এর পায়ের কাছে জমাতে থাকলেন। গল্পের গভীরতায় সাহাবীরা গভীর মগ্ন, তাই কেউ তা খেয়াল করেনি। যখন সবাই খাবার শেষ করলেন তখন মহানবী সাঃ এর পায়ের কাছে কোনো বিচি নেই। অন্যদিকে আলী রাঃ এর পায়ের কাছে বিচির পাহাড়।

তখন মুহাম্মদ সাঃ অবাক হবার ভান করে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আলি, তুমি এতো খেজুর খেয়েছো…?
একথা শুনে সাহাবীরা আলি রা: দিকে তাকিয়ে হাসিতে ফেটে পড়লেন…।

প্রত্যুত্তরে আলি রা: নবীজির পায়ের দিকে তাকিয়ে বিনয়ের সাথে বললেন, “হে আল্লাহর নবী, আজ আমি বুঝতে পারলাম, আপনি বিচি সহ খেজুর খান। একথা শুনে মুহাম্মদ সা: এর পায়ের দিকে তাকিয়ে দ্বিগুন বেগে হেসে উঠেন সাহাবীরা।।।

রাসূল সাঃ এর ইসলামিক গল্প – ৪

জাহের নামের একজন সাহাবী গ্রাম থেকে পণ্য এনে মদিনায় বিক্রি করতেন।
আসার সময় মুহাম্মদ সাঃ এর জন্য বিভিন্ন গ্রামীণ উপহার নিয়ে আসতেন তিনি। বিনিময়ে মুহাম্মদ সাঃ মদিনার তৈরি বিভিন্ন জিনিস সাহাবীকে উপহার দিতেন।
জাহের রাঃ একজন আরব বিজ্ঞানী ও একজন সাহাবা ছিলেন। কিন্তু ব্যাক্তি হিসেবে আফ্রিকান দের মতো।

মুহাম্মদ সাঃ তাকে অনেক শ্রদ্ধা করতেন ও ভালোবাসতেন। সবসময় বলতেন ও আমার গ্রামীণ বন্ধু আর আমি তার শহরের বন্ধু। একদিন মুহাম্মদ সাঃ, জাহের রাঃ কে মার্কেটে বিক্রিরত অবস্থায় দেখলেন। বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চুপি চুপি পেছন দিক থেকে তার কাছে গেলেন এবং আচমকা পেছন থেকে জাপটে ধরলেন।

জাহের রাঃ বিরক্ত হয়ে বললেন, “এই এটা কে ছারো আমাকে।”

আশেপাশের সাহাবীরা দেখে হেসে উঠলেন। যখন তিনি বুঝতে পারলেন বাক্তিটি হযরত মোহাম্মদ সাঃ তখন তিনি মুহাম্মদ সাঃ এর হাত দুটো শক্ত করে ধরলেন, যাতে এভাবে আরো কিছু সময় থাকতে পারেন।

মুহাম্মদ সাঃ জাহের রাঃ কে সেভাবেই ধরে সাহাবীদের দিকে তাকিয়ে মজার ছলে হাসলেন আর বললেন, “কে কিনবে এই দাসকে?

মুহাম্মদ সাঃ এর হাতের ভিতর আবদ্ধ অবস্থাতেই জাহের রাঃ হাসিতে ফেটে পড়লেন। আর বললে, “হে আল্লাহর নবি, আমাকে বিক্রি করে আপনি ঠকবেন। আমার বাজে বাক্তিত্বের জন্য, কেউ আপনাকে ভালো মূল্য দেবে না।”

মুহাম্মদ সাঃ বললেন, “না জাহের, যদি পৃথিবীর একজন বাক্তিও তোমাকে সম্মান না দেয়, তারপরও তুমি আল্লাহর কাছে অমূল্য।”

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমাদের লিখা আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পর্বে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজের খেয়াল রাখুন। আল্লাহ হাফেজ……..

Leave a Reply